শিব কী? সত্য ও সুন্দরই শিব। এই পৃথিবীতে সবাই সত্যকে, সুন্দররূপে মঙ্গলকেই চায়। কেউই অমঙ্গল, অসুন্দর, অশিবকে চায়না। ফলে সকলেই এই শিব পূজার অধিকারী। শিব লিঙ্গম কি? “লীনং বা গচ্ছতি, লয়ং বা গচ্ছতি ইতি লিঙ্গম্” যা লয়প্রাপ্ত হয় তাই লিঙ্গ। আবার কারো মতে সর্ববস্তু যে আধারে লয়প্রাপ্ত হয় তাই লিঙ্গম। কিন্তু বৈয়াকরণিকগণের মতে "লিঙ্গতে চিহ্নতে মনেনেতি লিঙ্গম্"। লিঙ্গ শব্দের অর্থ 'প্রতীক' বা 'চিহ্ন'। যার দ্বারা বস্তু চিহ্নিত হয়, সত্য পরিচয় ঘটে তাই-ই লিঙ্গ। অর্থাৎ যার দ্বারা সত্যবিজ্ঞান লাভ হয়, যার সাহায্যে বস্তুর পরিচয় পাওয়া যায় তাকেই বস্তু পরিচয়ের চিহ্ন বা লিঙ্গ বলে। আর এজন্যই দেহ প্রকৃতিতে লীনভাবে অবস্থান করে বলেই চিদ্ জ্যোতিকে বলা হয় লিঙ্গ। ভূমা ব্রহ্মের গুহ্য নাম "শিব" এবং ভূমা ব্রহ্মের পরিচায়ক বলে আত্মজ্যোতির উদ্ভাসনের নাম শিবলিঙ্গ। |
Featured Posts
সনাতন দর্পন»
- ► সনাতন দর্পনে আপনাকে স্বাগত।
- ► সাইট ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
Saturday 24 January 2015
শিবতত্ত্ব বা মহাশিবরাত্রির তাত্পর্য
হিন্দু ধর্ম প্রসঙ্গে - স্বামী অক্ষরানন্দ
হিন্দুধর্ম সম্বন্ধে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করে থাকেন এ ধর্ম দুর্বোধ্য ও অযৌক্তিক। এরূপ মনে করার কারণ এর বিশালত্ব, যা অনায়াসলভ্য নয়। কতগুলি বিশ্বজনীন মৌলিক সত্য রয়েছে এবং বিভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গীতে নিরূপিত সে সত্যের উপর হিন্দু ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। এ যেন বিশাল এক অশ্বত্থ বৃক্ষ! এর শাখা-প্রশাখা অসংখ্য। অনেকে এর কোনটি শাখা, কোনটি উপশাখা বুঝতে পারেন না। কাজেই যে কোন একটি শাখা বা উপশাখাকে ধরে হিন্দু ধর্মকে বুঝতে গিয়ে ভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। আবার এর যে কোন একটি শাখা বা প্রশাখা হিন্দু ধর্মের সার্বিক পরিচায়ক নয়।
আমরা জানি যে শাক্ত, শৈব, সৌর, গাণপত্য, বৈষ্ণব প্রভৃতি অনেক সম্প্রদায় রয়েছে হিন্দু ধর্মে । দ্বৈত, অদ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত কত মতবাদ; জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি, যোগ-কত মার্গ! এগুলো ধর্মের সোপান। কাজেই কোন পথ অবলম্বন করা উচিত তা নির্ণয় করা একটু কঠিন বৈকি! কঠিন হলেও এর সমাধান আছে। বিশেষ বিবেচ্য যে, এর কোন একটিকে বাদ দিলে হিন্দু ধর্মের সার্বিক রূপ পাওয়া যাবে না।
বৈদিক বর্ণাশ্রম কি জন্মনির্ধারিত?
এস কে দাস:প্রথমেই বলি আমার এই লেখা তাদের উদ্দেশ্য করে যারা কিনা “জন্মসূত্রে” বর্ণবিভাগে বিশ্বাস করেন এবং একজন মানুষ ছেলে অথবা মেয়ে যে কি না সব দিক দিয়েই যেমনঃ অর্থনৈতিক ,শিক্ষা-দীক্ষা প্রভৃতি দিক দিয়ে যোগ্য হওয়া সত্যেও শুধু পিতৃবর্ণের কারণে তাকে স্বীকার করেন না কিংবা নিজের পুত্রবধূ বা মেয়েজামাই হিসেবে মেনে নেন না , বরং নিজের “স্বজাতি(হাস্যকর নয় কি??)” খুঁজে বেরান !!
আমার লেখায় সংক্ষেপে বৈদিক চারটি প্রধান বর্ণ ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শূদ্র এদের সংগা ও কিভাবে এদের শ্রেণীবিভাগ হয় এবং সমাজে তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করব । এই পোস্টে প্রাথমিক ধারণা ও পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।তার আগে আসুন দেখে নিই আমরা যে কথায় কথায় “caste” শব্দটি ব্যবহার করি “বর্ণ” অর্থে, সেই caste আর বর্ণ এক কি না ?
Thursday 23 October 2014
কালীপূজার উদ্ভব ও বিকাশ
তারাপদ আচার্য্য
বাংলায় 'পূজার' ধারণাটি সুপ্রাচীন। প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন বাংলায় 'পূজার' প্রাথমিক ধারণার উন্মেষ বলে মনে করা হয়। কেননা, 'পূজা' শব্দটি বৈদিক আর্যদের সংস্কৃত ভাষার শব্দ নয়; 'পূজা' শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার একটি শব্দ। সুপ্রাচীন বাংলার মানুষ কথা বলত ওই অস্ট্রিক ভাষায়।
'কালী' শব্দটি 'কাল' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যার অর্থ 'কৃষ্ণ, ঘোর বর্ণ'। মহাভারত অনুসারে, এটি দুর্গার একটি রূপ। আবার হরিবংশ গ্রন্থে কালী একটি দানবীর নাম। 'কাল', যার অর্থ 'নির্ধারিত সময়', তা প্রসঙ্গক্রমে 'মৃত্যু' অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এর সমোচ্চারিত শব্দ 'কালো'র সঙ্গে এর কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। কিন্তু লৌকিক ব্যুৎপত্তির দৌলতে এরা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গেছে। মহাভারতে এক দেবীর উল্লেখ আছে যিনি হত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন। তার নাম কালরাত্রি বা কালী। সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, এ শব্দটি নাম হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে আবার 'কৃষ্ণবর্ণা' বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
বাংলায় 'পূজার' ধারণাটি সুপ্রাচীন। প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন বাংলায় 'পূজার' প্রাথমিক ধারণার উন্মেষ বলে মনে করা হয়। কেননা, 'পূজা' শব্দটি বৈদিক আর্যদের সংস্কৃত ভাষার শব্দ নয়; 'পূজা' শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার একটি শব্দ। সুপ্রাচীন বাংলার মানুষ কথা বলত ওই অস্ট্রিক ভাষায়।
'কালী' শব্দটি 'কাল' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যার অর্থ 'কৃষ্ণ, ঘোর বর্ণ'। মহাভারত অনুসারে, এটি দুর্গার একটি রূপ। আবার হরিবংশ গ্রন্থে কালী একটি দানবীর নাম। 'কাল', যার অর্থ 'নির্ধারিত সময়', তা প্রসঙ্গক্রমে 'মৃত্যু' অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এর সমোচ্চারিত শব্দ 'কালো'র সঙ্গে এর কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। কিন্তু লৌকিক ব্যুৎপত্তির দৌলতে এরা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গেছে। মহাভারতে এক দেবীর উল্লেখ আছে যিনি হত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন। তার নাম কালরাত্রি বা কালী। সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, এ শব্দটি নাম হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে আবার 'কৃষ্ণবর্ণা' বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
Wednesday 22 October 2014
অভ্রান্ত বৈদিক জ্ঞান
আমরা কেন বেদসমূকে সত্য বলে স্বীকার করব? বেদসমূহ হচ্ছে সরাসরি ভগবানের বাণী, যা সৃষ্টির প্রারম্ভে প্রকাশিত হয়েছিল । যখন আপনি একটি মোটর সাইকেল কেনেন, তখন তার সঙ্গে একটি ইন্স্ট্রাক্শন ম্যানুয়াল বা ব্যবহার-বিধি নির্দেশিকা থাকে, যাতে ব্যাখ্যা করা থাকে কিভাবে ঐ মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করা যেতে পারে । ঠিক তেমনি, সৃষ্টির সময়ে ভগবান আমাদেরকে বৈদিক শাস্ত্র প্রদান করেন, যাতে ব্যাখ্যা করা থাকে এই জগত কেমন, কোথা থেকে উদ্ভূত, কিভাবে এই জগতে আচরণ করা উচিত ।
কয়েকটা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে বৈদিক জ্ঞান অভ্রান্ত । স্মরণাতীত কাল পূর্বে রচিত হলেও এমন সব তথ্য বেদে বর্নিত হয়েছে, বিজ্ঞান যা অতি সম্প্রতি আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ।
১. ডালটন পরমানু আবিষ্কার করেছেন দু’শো বছরও হয় নি । আজ থেকে ৫০০০ বছর পূর্বে রচিত শ্রীমদ্ভাগবতের মূল শ্লোকে পরমানু অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম কণা – এই তথ্য দেওয়া হয়েছে । ব্রহ্মসংহিতাতেও(৫/৩৫) বলা হয়েছে যে, শৃঙ্খলাযুক্ত জড় পদার্থের বিন্যাসে বৃহত্তম ইউনিট বা একক হচ্ছে ব্রহ্মান্ড, ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে পরমাণু (অন্ডান্তরস্থপরমাণুচয়া-অন্তরস্থং) । এইরকম সর্ববৃহৎ
ইউনিট বা ব্রহ্মান্ড একটি নয়, কোটি কোটি (একোহপ্যসৌরচয়িতুং জগদন্ডকোটিং – ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৬) ।
Sunday 12 October 2014
"হিন্দুধর্মের নয়টি বিশ্বাস"
বনাচরণকে নির্ধারণ করে
যা আমাদের কর্মকেও নির্দেশ করে। আমরা
কর্মের দ্বারা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করি। ঈশ্বর,
আত্মা এবং বিশ্বনিখিল- এই তিনটি বিষয়
সম্পর্কে বিশ্বাস
থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দুরা
নানাবিধ বিষয়ে বিশ্বাস করে কিন্তু তারা কিছু মৌলিক ধারনায় এসে মিলিত হয়। নিন্মবর্ণিত নয়টি বিশ্বাস আমাদের হিন্দু আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়ঃ
১) আমরা (হিন্দুরা) বিশ্বাস করি এক
পরমাত্মায় যিনি একই সাথে আভ্যন্তরীণ এবং ব্রহ্মাণ্ডের অতীত, এবং সৃষ্টিকর্তা ও এক অস্পষ্ট বাস্তবতা।
২) আমরা বিশ্বের সর্বপ্রাচীন ও স্বর্গীয়
গ্রন্থ বেদে এবং একই সাথে তন্ত্রে মন্ত্রে বিশ্বাসী। এই স্তোত্রগুলি হল ঈশ্বরের বানী এবং শাশ্বত সনাতন ধর্মের মৌলিক
বিষয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)