বনাচরণকে নির্ধারণ করে
যা আমাদের কর্মকেও নির্দেশ করে। আমরা
কর্মের দ্বারা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করি। ঈশ্বর,
আত্মা এবং বিশ্বনিখিল- এই তিনটি বিষয়
সম্পর্কে বিশ্বাস
থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দুরা
নানাবিধ বিষয়ে বিশ্বাস করে কিন্তু তারা কিছু মৌলিক ধারনায় এসে মিলিত হয়। নিন্মবর্ণিত নয়টি বিশ্বাস আমাদের হিন্দু আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়ঃ
১) আমরা (হিন্দুরা) বিশ্বাস করি এক
পরমাত্মায় যিনি একই সাথে আভ্যন্তরীণ এবং ব্রহ্মাণ্ডের অতীত, এবং সৃষ্টিকর্তা ও এক অস্পষ্ট বাস্তবতা।
২) আমরা বিশ্বের সর্বপ্রাচীন ও স্বর্গীয়
গ্রন্থ বেদে এবং একই সাথে তন্ত্রে মন্ত্রে বিশ্বাসী। এই স্তোত্রগুলি হল ঈশ্বরের বানী এবং শাশ্বত সনাতন ধর্মের মৌলিক
বিষয়।
৩) আমরা বিশ্বাস করি মহাবিশ্ব সমাপ্তিহীন
সৃষ্টি, স্থিতি এবং
বিনাশ চক্রের মাধ্যমে অতিবাহিত হয়।
৪) হিন্দুরা কর্মফলে বিশ্বাসী। কার্যকারনের আইন অনুসারে একজন ব্যাক্তি তার চিন্তাভাবনা, কথা এবং কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য নির্ধারণ করে।
৫) হিন্দুরা বিশ্বাস করে আত্মা বারবার
জীবদেহ গ্রহন করে। বহুজন্মের
মধ্যে দিয়ে হিন্দুরা তাদের কর্ম সম্পাদিত করে এবং অবশেষে মোক্ষলাভ ( জন্মমৃত্যু চক্র থেকে
মুক্তি লাভ ) প্রাপ্ত
হয়। কোন একক আত্মাও এই পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হয় না।
৬) হিন্দুরা বিশ্বাস করে এক স্বর্গীয়
সত্ত্বা বিরাজ করে অদৃশ্য জগতে। মন্দিরে পুজা,
উপাসনা, বিভিন্ন পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং ব্যাক্তিগত ভক্তি দেবদেবী এবং ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করে।
৭) হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে, বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিকতা, ব্যাক্তিগত নিয়ম নিষ্ঠা, সৎ চরিত্র, পবিত্রতা,
তীর্থযাত্রা, আত্ম উপলব্ধি, ধ্যান,
এবং ঈশ্বরের প্রতি নিজেকে সমর্পণের জন্য
একজন সৎ গুরু অপরিহার্য।
৮) হিন্দুরা বিশ্বাস করে জীবনকে পবিত্র
করতে হলে একজন ব্যাক্তিকে তার চিন্তায়, কথায় এবং কর্মে অহিংস ও কোমল হতে হবে।
৯) হিন্দুধর্ম শুধুমাত্র মুক্তির পথ নয়,
এটি একই সাথে আমাদের ঈশ্বরের আলোর সন্ধান দেয় এবং আমাদের সহিষ্ণুতা ও
চিন্তাশীলতা বৃদ্ধি করে।
*** হিন্দুধর্ম,
পৃথিবীর সবচেয়ে
প্রাচীন ধর্ম যার কোন শুরু নেই –
আছে কিছু ইতিহাস। এটির কোন মানব প্রতিষ্ঠাতা নেই। এটি
একটি আধ্যাত্মিক ধর্ম যা একজন ভক্তকে সত্যের পথ দেখায় এবং চেতনার সর্ব উচ্চ শিখরে পৌছতে সাহায্য করে যেখানে আত্মা
এবং পরমাত্মা মিলিত
হয়। হিন্দুধর্মের চারটি শাখা আছে – শৈব, শাক্ত,
বৈষ্ণব ও স্মার্ত।
লেখখঃ বাংলাদেশ হিন্দু ধর্ম রক্ষা সমিতি
লেখখঃ বাংলাদেশ হিন্দু ধর্ম রক্ষা সমিতি
0 comments:
Post a Comment